নগর প্রতিবেদকঃ
দেশের মানুষ দুর্নীতি ও দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে বিকল্প খুঁজছে। পল্লীবন্ধু মরহুম এরশাদ ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকে ত্রিশ বছর যে সরকারগুলো দেশ পরিচালনা করেছে তারা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিপক্ষে জাতীয় পার্টি হচ্ছে জনসাধারণের একমাত্র বিকল্প শক্তি। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি এ সব কথা বলেছেন।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে গাজীপুর জেলা গণফোরাম সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মো. রফিকুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম টিটুর নেতৃত্বে দুই শতাধিক নেতাকর্মী জাতীয় পার্টিতে যোগদান উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি কোন ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করেনা, জাতীয় পার্টি কখনোই কোন ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলোনা। দেশের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র হলে তা প্রতিহতের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি সব সময় অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। দুর্নীতির কারণে দেশের ডাক্তারি সার্টিফিকেট বিদেশে গ্রহণ করছে না। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন, হঠাৎ করে কেউ কেউ গ্রেফতারও হচ্ছেন। কিন্তু কিছুদিন পর আবার দুর্নীতিবাজরা কোর্ট-টাই পড়ে ঘুরে বেড়ান।
জিএম কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অভিযানে বিচার বর্হিভূতভাবে কয়েকশো মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে কিন্তু মাদকের প্রসার কি কমেছে? কেউ দাবি করতে পারছেনা দেশে মাদকের বিস্তার রোধ হয়েছে।
এ সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, রাজনীতির মুল কর্মকাণ্ডে রয়েছে নির্বাচন। কিন্তু দেশের মানুষ নির্বাচনের প্রতি অনীহা প্রকাশ করছে। নির্বাচনের প্রতি সাধারণ মানুষের অনাস্থা স্পষ্ট। এ কারণে, রাজনীতিতে স্থবিরতা বিরাজ করছে। তাই অনেকেই রাজনীতি থেকে ঝড়ে পড়ছে।
যোগদান অনুষ্ঠানে গাজীপুর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এম.এম. নিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গাজীপুর জেলা সভাপতি মো. আজম খান, রফিক মেম্বর।