ঝুলে গেলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভাগ্য

image-218703.jpg
ক্রীড়া ডেস্ক

যথাসময়ে কি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর? চেয়ারম্যান হিসেবে শশাঙ্ক মনোহরের মেয়াদকাল কি আরো ২ মাস বর্ধিতকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে? এমন নানা প্রশ্নের উত্তর জানতে পরশু রাতে অনুষ্ঠিত আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ের দিকে চোখ ছিল ক্রিকেট দুনিয়ার। সবচেয়ে বড় কথা আগামী অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রশ্নে সাবেকদের দাবিতে খানিকটা কোণঠাসা আইসিসি সিদ্ধান্তটা ওই দিনের অনলাইন সভাতেই নিয়ে নেবে বলে মনে করেছিল বিশেষজ্ঞ মহল। কিন্তু বাস্তবে ঘটল ভিন্ন কিছু।

বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার টেলিকনফারেন্স থেকে বৃহস্পতিবার কোনো আশার আলো দেখা যায়নি। ফলে চলতি মাসে বিশ্বকাপ সংক্রান্ত কোনো বিষয়েই সিদ্ধান্ত আসছে না। আইসিসির পরবর্তী বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১০ জুন। সেদিন আবারো আলোচনা হবে নির্ধারিত সূচিতে বিশ্বকাপ আয়োজন করা-না করার ব্যাপারে। সদস্য দেশগুলোর দাবি করা গোপনীয়তা রক্ষার বিভিন্ন ইস্যুগুলো নিয়ে ওই দিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন আইসিসি সিইও।

সদস্যদের আশ্বস্ত করার পরেই বিশ্বকাপসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। অর্থাৎ, আগামী ১৮ অক্টোবর থেকে আদৌ কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপ শুরু হবে কি না, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরো ১২ দিন।

বিশ্বকাপের সঙ্গে আইপিএলের ভাগ্য অনেকাংশে জড়িয়ে থাকায় ঝুলে রইল অর্থের ঝনঝনানির আসরটির ভবিষ্যতও। তবে এই সময়কালের মধ্যে আইসিসি ম্যানেজমেন্ট তার সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া চালু রাখবে।

করোনার প্রাদুর্ভাবে ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক ক্রীড়াসূচিতে যেভাবে ব্যাঘাত ঘটেছে, তাতে যথাসময়ে টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে রয়েছে ঘোর সংশয়। খোদ আয়োজক অস্ট্রেলিয়াই এ ব্যাপারে সন্দীহান। দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের (সিএ) প্রধান কেভিন রবার্টসের মতে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্বকাপের সূচি বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

দুশ্চিন্তায় থাকা রবার্টস তাই বিশ্বকাপের বিকল্প সূচি নিয়েও ভাবতে শুরু করেছেন, ‘যদি ইভেন্টটি এবার না হয়, তবে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠিত হতে পারে। অথবা পরের বছর অক্টোবর-নভেম্বরেও এটি আয়োজন করা যেতে পারে। আইসিসির জন্য আগামী কয়েক বছরের বেশ কিছু বিষয় এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তাই আইসিসিকে অনেক জটিলতা মোকাবিলা করতে হবে।’

২০২১ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি রয়েছে। তাই পরিস্থিতির উন্নতি না হলে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২০২২ সালের আগে বিশ্বকাপের আসর নাও বসতে পারে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার সরকার বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য সময়টা ২০২২ সালে নিয়ে গেলে দেশি-বিদেশি অনেক স্পন্সর হারাবে বোর্ড। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ বিশ্বকাপ দুই বছর পিছিয়ে গেলে তাদের সরকার পর্যটন স্বত্বের অংশীদার হিসেবে বোর্ডকে সাড়ে ৪ মিলিয়ন ডলার প্রদানের সিদ্ধান্ত থেকে সরেও দাঁড়াতে পারে। তাই ২০২১ সালের মধ্যেই যেন আসরটি মঞ্চস্থ করা যায়, সে চেষ্টাই করবে সিএ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top