জায়েদ বখত। ফাইল ছবি।
অর্থনৈতিক প্রতিবেদকঃ
জায়েদ বখতকে ফের রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। টানা তিন মেয়াদে এক ব্যাংকে চেয়ারম্যান থেকে রেকর্ড গড়লেন এই অর্থনীতিবিদ। এর আগে রাষ্ট্রায়ত্ত কোনো ব্যাংকে টানা তিন বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেননি কেউ।
২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক জায়েদ বখতকে প্রথমবারের মতো তিন বছরের জন্য অগ্রণী ব্যাংকে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয় সরকার। এর আগে তিনি সোনালী ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন।
প্রথম দফায় মেয়াদ শেষ হলে তাকে আবার তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। সে মেয়াদও শেষ হলে মঙ্গলবার আরও তিন বছরের জন্য নিয়োগ দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।
নতুন নিয়োগের পর জায়েদ বখত মিডিয়াকে বলেন, “গত ছয় বছরে আমরা ব্যাংকটির অনেক উন্নতি করেছি। “ঋণ বিতরণে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত, রেমিটেন্স অনায় সাফল্য, খেলাপি ঋণ কমানোসহ আরও অনেক অগ্রগতি হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো ব্যাংক এখন অগ্রণী ব্যাংক।” অগ্রণী ব্যাংক দেশের ব্যাংকিং খাতে ‘একটি মডেল’ হিসেবে গড়ে তোলার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
“তৃতীয় মেয়াদে আমাকে চেয়ারম্যান করায় ব্যাংকটিকে আরও ভালো করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছি আমি। আশা করি আমরা সফল হব। ব্যাংকটি যাতে দেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় আরও বেশি ভূমিকা রাখে, সেই চেষ্টাই করবো সব সময়।”
জায়েদ বখত বলেন, “এক ব্যাংকে তিন মেয়াদে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা সত্যিই একটি বিরল ঘটনা। আর এই গুরু দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার প্রতি বিশ্বাস রেখে এই দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি সেই বিশ্বাস রাখার অবশ্যই চেষ্টা করব।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, মোট ৫৭টি ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে রেমিটেন্স এলেও এর অর্ধেকই আনছে দুটি ব্যাংক। এর একটি হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক; আর আরেকটি বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক। রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকের মাধ্যমে যে রেমিটেন্স আসে, তার অর্ধেকই এখন আসছে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে।
এই মহামারীর মধ্যেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে উল্লম্ফন হচ্ছে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে ১০ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪২ শতাংশ বেশি। এই রেমিটেন্সের মধ্যে ১৬০ কোটি ডলারই এসেছে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে।