তবুও কতো স্বপ্ন বুকে দিলারার!

111206-delara-as.jpg.jpg

ছোটবেলা থেকেই মঞ্চের সাথেই ছিলো তার সখ্য। নৃত্যনাট্য, মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেই আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। একসময় হয়েগেলেন সিনেমার নায়িকা। নায়িকা হয়ে শতাধিক সিনেমাতেও অভিনয় করেছিলেন। তিনি আমাদের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী নায়িকা দিলারা। পারিবারিক নাম তার দোলন।সর্বশেষ গুনী এই অভিনেত্রীকে মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’ সিনেমায় দেখা গেছে। এরপর আরো কয়েকটি সিনেমায় কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধও হয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত করা হয়নি। কারণ শুটিং শুরুর আগেরদিন রাতে ফোন করে পরেরদিনই শুটিং-এ যাবার কথা বলায় পূর্ব প্রস্তুতি নেবার সুযোগ না থাকায় সিনেমাতে আর অভিনয় করেননি তিনি। তবে চলচ্চিত্রকে ঘিরে দিলারার অনেক স্বপ্ন রয়েছে। দিলারা বলেন, ‘ খুব পুরোনো দিনগুলোতে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে। মাঝে মাঝে ভাবি, ইস! এফডিসিটা যদি আবার রঙধনুর সাত রঙ্গে সাজতে পারতো, ফ্লোওে ফ্লোরে আবার যদি সিনেমার শুটিং হতো। কতোইনা ভালোলাগতো। কিন্তু আদৌ কী সেই দিন আর ফিরে আসবে? আসবেনা। তাই এ কথা ভেবে ভেবে খুব কষ্ট পাই। এফডিসিতে গেলে মন খুব খারাপ হয়ে যায়, আগেরই সেই সোনালী দিন নেই। তারপরও জীবনের এই পর্যায়ে এসে ইচ্ছে করে একটি ভালো গল্পের সিনেমা নির্মাণের।

যে সিনেমাটি শ্রদ্ধেয় খান আতাউর রহমান কিংবা শ্রদ্ধেয় আমজাদ হোসেনের কোন সিনেমার মতো মাইলফলক সিনেমা হয়ে রবে। জানিনা আমার এই স্বপ্ন পূরণ হবে কী না।’ দিলারা এখনো স্বপ্ন দেখেন ঐতিহাসিক চরিত্রগুলোতে কাজ করার। রাজধানীর মহাখালীতেই দিলারার বেড়ে উঠা। সেখানকার এমএ কাশেমের স্কুলে নাচ শিখতেন তিনি।

সেখানে নবম শ্রেণীতে পড়ার সময়ই দিলারা রফিকুল বারী চৌধুরীর কাছ থেকে বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান। তারই নির্দেশনায় তিনি প্রথম মুসলিম শাড়ির বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে তিনি, রোজিনা ও সুনেত্রাও একটি বিজ্ঞাপনে একসঙ্গে মডেল হিসেবে কাজ করেন। আমজাদ হোসেনের পরিচালনায় প্রথম ‘সুন্দরী’ সিনেমাতে অভিনয় করেন তিনি। পরে ‘শেষ উত্তর’,‘ তিন বাহাদুর’,‘ এখনই সময়’, ‘নাজমা’, ‘সমর’, ‘কালো গোলাপ’,‘ অসতী’,‘সম্রাট’,‘ আওলাদ’, ‘নাদিরা’, ‘রাজভিখারী’, ‘হাইজ্যাক’,‘ আশা নিরাশা’, ‘রক্তের বন্দী’সহ আরো অনেক সিনেমায় অভিনয় করেন। মঞ্চে তার আলোচিত নাটক ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’।

এতে লুৎফা চরিত্রে অভিনয় করে বেশ সাড়া ফেলেছিলেন তিনি। তার প্রযোজিত সিনেমা হচ্ছে কামরুজ্জামান পরিচালিত ‘রসিয়া বন্ধু’ ও খসরু নোমান পরিচালিত ‘সাজা’। দুটো সিনেমাতেই তার বিপরীতে ছিলেন প্রবীরমিত্র। দিলারার একমাত্র মেয়ে রাকা, রাকার একমাত্র মেয়ে রিভাকে নিয়েই সময় কাটে দিলারার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top