নিউজ ডেস্কঃ
র্যালি, আলোচনা সভা, সমাবেশসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে বুধবার যথাযোগ্য মর্যাদায় সারা দেশে উদযাপিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি, জাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে এসব কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যবিরোধীদের গ্রেফতার দাবি জানিয়ে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি রুখে দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর শের-ই বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পনের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন দেশে এখন ‘শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা’ বিরাজ করছে ।
শ্রদ্ধা ভালোবাসা আর অবনত শিরে মহান বিজয় দিবসে বাঙালি জাতি স্মরণ করল বীর সন্তানদের। ১৬ ডিসেম্বর বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে গৌরব ও অহঙ্কারের দিন। ৩০ লাখ শহীদের রক্তস্রোত, স্বামী-সন্তানহারা নারীর অশ্রুধারা, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা আর বীরাঙ্গনাদের সীমাহীন ত্যাগের বিনিময়ে ৯ মাসের যুদ্ধ শেষে অর্জিত হয় মহান এই বিজয়। ৪৯ বছর আগের এদিনে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয় বাঙালি জাতিকে এনে দিয়েছিল আত্মপরিচয়ের ঠিকানা।
মুক্তির ৪৯তম বার্ষিকীতে তাই স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসা সমাজের নানা স্তরের প্রতিনিধিদের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয় সাম্প্রদায়িক শক্তি বিনাশের প্রত্যয়। তারা বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তির যেসব অনুসারী আজও বাংলাদেশে উগ্রবাদের বিষ ছড়াচ্ছে, তাদের শেকড় থেকে উপড়ে ফেলতে হবে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার পর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে সেই মুক্তিসেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় সামরিক কায়দায় সালাম জানায়। শহীদদের স্মরণে বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর।
আমাদের প্রতিনিধিরা জানান,
নগর প্রতিবেদক: বিএনপি : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর শের-ই বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পনের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন দেশে এখন ‘শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা’ বিরাজ করছে । এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্যে জনগণ আজকের দিনে আবার নতুন করে শপথ গ্রহণ করছে যে, আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে তারা অবশ্যই দেশকে মুক্ত করবে, মানুষের গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে এবং গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে। তাই একটি নিরপেক্ষ সরকারের নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এদেশে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা শপথ নিচ্ছি’-যোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তথ্যমন্ত্রী: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে নির্মূল করাই বিজয় দিবসের প্রত্যয়। বিজয় দিবসের সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর সড়কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে দলীয় নেতাদের সঙ্গে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সার্থকতা সেখানেই, বঙ্গবন্ধু যে উন্নত রাষ্ট্র গড়তে চেয়েছিলেন, স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় তাকে হত্যা করার কারণে তিনি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যেতে না পারলেও আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। ড. হাছান বলেন, আজকে অর্থনৈতিক, মানবউন্নয়ন, সামাজিক- সব সূচকে আমরা পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছি। অনেক সূচকে আমরা ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছি। এখানেই বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুকন্যার সার্থকতা। কিন্তু বিজয়ের ৪৯ বছর পরও আজ স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি মাঝেমধ্যে আস্ফালন করে এবং এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বিএনপি, উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে যারা পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করে লড়াই করেছিল, দলগতভাবে সেই জামায়াতে ইসলামীকে বিএনপি তাদের জোটসঙ্গী করেছে। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না, তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করে আর দিবানিশি স্বপ্ন দেখে এদেশকে কীভাবে আবার পাকিস্তান-তালেবানি রাষ্ট্র বানানো যায়। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এই ষড়যন্ত্র রুখতে বিজয়ের দিনে আমাদের প্রত্যয় হোক, বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে নির্মূল করা।
ঢাবিতে ‘ভাষা আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ’ ম্যুরাল উন্মোচন: ৪৯তম মহান বিজয় দিবসে ভাষা আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের নানা পটভূমিকে ফুটিয়ে তোলার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ম্যুরাল উন্মোচন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের শতবর্ষ পূর্তি সামনে রেখে হলটির প্রাঙ্গণে এ ম্যুরালটি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিধন্য ফজলুল হক মুসলিম হল প্রাঙ্গণে ‘বিজয় বাতায়ন’ নামে একটি স্থাপনাও তৈরি করা হয়েছে।
বুধবার ভিসি অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান এ দুটি স্মৃতি-স্মারক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার, ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহ মো. মাসুমসহ হল দুটির আবাসিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিইউপি: বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়। এদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিইউপি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিইউপির বিজয় অডিটোরিয়ামে ‘আমাদের বঙ্গবন্ধু’, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ’ এবং ‘স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা’ শীর্ষক তিনটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন বিইউপির সামরিক, বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এছাড়া ফ্যাকাল্টিসমূহ পৃথকভাবে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনলাইনে আয়োজন করে। আলোচনা সভায় মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্বসহ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্ব ও জীবনাদর্শের ওপর আলোকপাত করা হয়। এতে ডিন, চেয়ারম্যান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া এদিন বিইউপির ভবনসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
ভোলা প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য এই দেশে স্থাপিত হবেই। ৭১’র পরাজিত শক্তিরা আবার মাথা চারা দিয়ে উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি। বুধবার ভোলা শহরের ভাসানী মঞ্চে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিজয় দিবসের সমাবেশে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তৃতা করেন তোফায়েল। এ সময় তিনি ভোলা জেলার আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব আজ সুদৃঢ়। সব অপশক্তির বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের সোচ্চার থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি দোস্ত মাহামুদ, জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক আবদুল মমিন টুলু, জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকিব, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগসম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, পৌর আওয়ামী লীগ সম্পাদক আলী নেওয়াজ পলাশ প্রমুখ।
নবাবগঞ্জ : বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে ঢাকার নবাবগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, নবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপজেলা চত্বরে স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবদুল ওয়াছেক মিলনায়তনে বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউএনও এএইচএম সালাউদ্দিন মনজুর সভাপতিত্বে ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি সালমান এফ রহমান এমপি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।
উপস্থিত ছিলেন, সাবেক গণপরিষদ সদস্য আবু মো. সুবেদ আলী টিপু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবদুল বাতেন মিয়া, উপজেলা চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন ঝিলু, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া কিসমত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাফিল উদ্দিন, দেওয়ান আওলাদ হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আলী রমজান, মোশারফ হোসেন জুয়েল, শাহীন খান প্রমুখ।
শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) : শ্রীনগরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে বিজয় র্যালি বের হয়। পরে শ্রীনগর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও ষোলঘর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ডালু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান জিঠু, মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবলীগের সহসভাপতি স্বপন রায়, আলি আক্কাস জীবন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল হক নিশাত সিকদার, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জিকু, থানা আওয়ামী লীগের সদস্য লিটন মোল্লা, ছাত্রলীগ নেতা প্রিন্স প্রমুখ। অপরদিকে শ্রীনগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন, ইউএনও রহিমা আক্তার, শ্রীনগর থানার ওসি হেদায়েতুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
সোনারগাঁ : মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সাহাপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের হল রুমে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, অতিরিক্ত মহাসচিব ও জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি লিয়াকত হোসেন খোকা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম ইকবাল, সিনিয়র সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম বিডিআর, সোনারগাঁ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহেল রানা ও ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গণি প্রমুখ। এ সময় স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধারা ও শহীদ পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও উপজেলা প্রশাসনের কর্তকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, ইউএনও মো. আতিকুল ইসলাম, সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম প্রমুখ।
কালীগঞ্জ (গাজীপুর) : বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউএনও মো. শিবলী সাদিক, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিনা আক্তার, উপজেলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ প্রমুখ।
গাজীপুর : রাজবাড়ী মাঠে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার। এরপর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিজয় দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মের হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সিভিল সার্জন ডা. খায়রুজ্জামান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রীনা পারভীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রউফ নয়ন, গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর এমএ বারী প্রমুখ।
শ্রীপুর (গাজীপুর) : বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম প্রধান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা নাসরিন, শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমান প্রমুখ।
আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) : মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন নজরুল ইসলাম বাবু এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার, ইউএনও সোহাগ হোসেন, আড়াইহাজার পৌরসভার মেয়র সুন্দর আলী প্রমুখ।
লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) : উপজেলা মাঠে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউএনও মো. হুমায়ুন কবীর প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ওসমান গনি তালুকদার। বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মু. রাশেদ্দুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক আবদুর রশিদ শিকদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তপন প্রমুখ।
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) : অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিরাজদিখান উপজেলা চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহম্মেদ। ইউএনও সৈয়দ ফয়েজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাঈনুল হাসান নাহিদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহমিনা আক্তার তুহিন, সিরাজদিখান সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহম্মেদ সাব্বির সাজ্জাদ প্রমুখ।
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) : আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউএনও কাজী হাফিজুল আমীন। সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন সিকদার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আদনান চৌধুরী, ওসি (অপারেশন) মুজাহিদুল ইসলাম, ভাইস-চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জায়েদা নাসরিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওহাব মিয়া প্রমুখ।
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) : ইউএনও শাহ্ নূসরাত জাহানের সভাপতিত্বে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঁইয়া, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফিফা খান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সহকারী কমান্ডার আমান উল্লাহ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার পান্না সোহেল প্রমুখ।
গাছা (গাজীপুর) : মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম দীপের নেতৃত্বে র্যালি ও আলোচনা সভা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন গাছা ইউনিয়নের সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা কবির হোসেন, যুবলীগ নেতা সারোয়ার হোসেন সরকার প্রমুখ।
নেত্রকোনা : প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু এমপি। জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নূরুল আমিন।