করোনা থেকে সুস্থ হয়েই আবার সরব ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম, এবার রিজেন্ট হাসপাতাল সিলগালা

Sarwar.jpg

বিশেষ প্রতিবেদক :

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে মানুষ করোনা ভাইরাস এর চিকিৎসার জন্য ছুটে যাচ্ছেন। এছাড়াও যারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হননি সাধারণ রোগের জন্য অনেকে এসকল হাসপাতালগুলোতে যাচ্ছেন। কিন্তু তাদেরকে সেখানে গিয়ে ভুগতে হচ্ছে অসীম ভোগান্তিতে এবং দিতে হচ্ছে চরম মূল্য দিতে হচ্ছ। অনেক সময় প্রাণ হারাত হচ্ছে চিকিৎসার অভাবে। চলমান পরিস্থিতির মধ্যেও অমানবিকতার শীর্ষ চূড়ায় পৌঁছে গেছে আমাদের স্বাস্থ সেবা। সরকারি- বেসরকারি এই সকল হাসপাতালগুলো। দেশে চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে এমনিতেই মানুষ বিপর্যস্ত অবস্থার মধ্য দিয়ে দিনযাপন করছে। এরই মধ্যে আবার হাসপাতালগুলোর এমন অনিয়ম এর অভিযোগ যেন নতুন করে সমস্যার সৃষ্টি করেছে মানুষের মননে।

যে সকল হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো রিজেন্ট হাসপাতাল অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয় এবং একপর্যায়ে ওই হাসপাতালকে সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।

প্রাণঘাতী করোনাকালে করোনার নমুনা সংগ্রহ করে ভুয়া রিপোর্ট প্রদানসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে রাজধানীর উত্তরায় রিজেন্টের প্রধান কার্যালয়সহ উত্তরা ও মিরপুরে দুটি হাসপাতাল সিলগালা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সারোয়ার আলম বলেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসা এবং বাড়িতে থাকা রোগীদের করোনার নমুনা সংগ্রহ করে ভুয়া রিপোর্ট প্রদান করত রিজেন্ট হাসপাতাল। এছাড়াও সরকার থেকে বিনামূল্যে কোভিড-১৯ টেস্ট করার অনুমতি নিয়ে রিপোর্টপ্রতি সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকার করে আদায় করত তারা। এভাবে জনগণের সাথে প্রতারণা করে মোট তিন কোটি টাকার হাতিয়েছে রিজেন্ট হাসপাতাল।

এই সমস্ত অপরাধ ও টাকার নিয়ন্ত্রণ চেয়ারম্যান সাহেব (রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদ) নিজে করতেন অফিসে বসে। সারোয়ার আলম বলেন, ’রিজেন্টের প্রধান কার্যালয় থেকেই এই অপকর্মগুলো হতো বিধায় এটি সিলগালা করা হয়েছে। পাশাপাশি রোগীদের স্থানান্তর করে হাসপাতাল দুটিও সিলগালা করা হয়েছে।’ এর আগে সোমবার রাতেই মো. মোহাম্মদ সাহেদের মালিকানাধীন হাসপাতাল থেকে অননুমোদিত র‌্যাপিড টেস্টিং কিট ও একটি গাড়ি জব্দ করা হয়।

দেশে চলছে মহামারী করোনাভাইরাস আর এর মধ্যে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনেক মানুষ এই ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন হাসপাতালগুলোতে। বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ঠাঁই না পেয়ে অনেক ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে রোগীদের। একটু ভালো চিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতালে যেয়ে সেখানে তারা পড়ছেন চরম বিপাকে। প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত বেসরকারি হাসপাতালগুলো এই কর্মকাণ্ড গুলো করে আসছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে রাজধানীতে যেসব হাসপাতাল রয়েছে সেগুলোতে এই ধরনের অনিয়মের অভিযোগ শোনা যাচ্ছে প্রায়শ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top