জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বিশ্ব সংস্থাটির সদস্যরাষ্ট্রগুলোর প্রতি জলবায়ু জরুরি অবস্থা জারির আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার ‘ক্লাইমেট অ্যামবিশন’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিব এসব আহ্বান জানান। এ সময় তিনি প্রতিটি দেশকে কার্বন নিঃসরণ প্রতিশ্রুত মাত্রায় কমিয়ে আনারও আহ্বান জানান। বিবিসি।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষরের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এ সময় সংস্থাটির প্রধান ধনী দেশগুলোর সমালোচনা করে বলেন, ‘জি–২০ দেশগুলো অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার ৫০ শতাংশই জীবাশ্ম জ্বালানি–সংশ্লিষ্ট। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এসব সম্পদ ব্যবহারের নীতিতে হেঁটে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর ভঙ্গুর এক পৃথিবীতে ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিতে পারি না।’ সম্মেলনে ৭০ জনের বেশি বিশ্বনেতা বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলন শেষে বিশ্বের ৭৫টির বেশি দেশের নেতারা কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনতে নতুন লক্ষ্যের ঘোষণা দিতে পারেন। এমন ঘোষণা না দিলেও তাদের কাছ থেকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগের সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে সহযোগিতার ইঙ্গিত দিতে পারেন তারা।
আন্তোনিও গুতেরেস তার ভাষণে সতর্ক করে বলেন, বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখতে বিভিন্ন দেশের বর্তমান প্রতিশ্রুতিগুলো পর্যাপ্ত নয়। তিনি বলেন, ‘পথ পরিবর্তন না করলে আমরা চলতি শতকেই গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি দেখব, যার পরিণতি হবে ভয়াবহ।
এ কারণেই আজ আমি বিশ্বের সব নেতার প্রতি নিজ নিজ দেশে জলবায়ু জরুরি অবস্থা জারির আহ্বান জানাচ্ছি। বায়ুমণ্ডলে কার্বন জমা পড়ার হার শূন্যে নামিয়ে আনার (কার্বন নিউট্রালিটি) লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত এই জরুরি অবস্থা অব্যাহত রাখতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ঐকান্তিক চেষ্টায় ২০১৫ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে স্বাক্ষরিত হয় প্যারিস জলবায়ু চুক্তি। এই চুক্তি অনুযায়ী দেশগুলো বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখতে লক্ষ্য নির্ধারণ করে।
উল্লেখ্য, বিশ্বের ৩৮টি দেশ জলবায়ু জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন বলে জানিয়েছেন আন্তোনিও গুতেরেস। এ পরিস্থিতিতে বিশ্বের সকল দেশকে এমন পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান তিনি।