প্রধানমন্ত্র, ফাইল ফটো।
নিজস্ব প্রতিবেদক ::
‘ফ্রিল্যান্সাররা যে কাজ করছেন, তাঁরা যেন একটা সার্টিফিকেট বা স্বীকৃতি পান। কেননা তাঁরাও অর্থ উপার্জন করছেন, সেটাও একটা কাজ।’ তিনি বলেন, ‘ফ্রিল্যান্সারদের একটা অসুবিধা আছে আমি জানি। তাঁদের রেজিস্ট্রেশন করতে হচ্ছে না, সার্টিফিকেটও নেই, স্বীকৃতিও নেই। সেটা নিয়েও আমরা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাথে (তাঁর ছেলে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা) আলোচনা করে, আমাদের আইসিটি মিনিস্ট্রি, যুব মন্ত্রণালয় এবং সকলে মিলে উদ্যোগ নিচ্ছি, যারা এই ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করবে তারা যেন একটা স্বীকৃতি পায়, বা সনদ পায়।’ তিনি বলেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে আমাদের যুবসমাজ ঘরে বসেই অনেক টাকা উপার্জন করতে পারছে। তবে এটারও একটা স্বীকৃতির দরকার রয়েছে।
বিয়ের বাজারে মেয়ের বাবারা ফ্রিল্যান্সারদের মূল্যায়ন করে না, এমনকি ভালো স্কুল অভিভাবকদের আয়ের নিশ্চয়তা না পেয়ে তাদের সন্তানদের ভর্তি পর্যন্ত করতে চায় না—এমন অভিযোগও তাঁর কাছে এসেছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। এ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘কোনো কাজে গেলে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের সোর্স অব ইনকাম দেখাতে পারে না, সে জন্য আমরা এ বিষয়ে স্বীকৃতির চিন্তাভাবনা করছি, যা একটা সুযোগ সৃষ্টি করে দেব। যাতে তারা কাজ করতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী ১ নভেম্বর রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। তিনি ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যে গণভবন থেকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আসার পর দেশের অর্থনীতি যেমন গতিশীলতা পেয়েছে, তেমনি আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।’ যুবকদের জন্য সরকার প্রদত্ত নানা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে নিজেদেরই নিজেদের ভাগ্যনিয়ন্ত্রক বা উদ্যোক্তা হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। তাঁর সরকার ফ্রিল্যান্সারদের স্বীকৃতির জন্য সনদ প্রদানের চিন্তাভাবনা করছে বলেও তিনি অনুষ্ঠানে জানান।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এ বছরের বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।