সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।
কক্সবাজার প্রতিনিধি
সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় আদালতে দায়ের হওয়া মামলাটি আদালতের আদেশ মতে টেকনাফ মডেল থানায় নিয়মিত হত্যা মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছে। ৫ আগস্ট বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
দণ্ডবিধি ৩০২, ২০১ ও ৩৪ জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাটি রুজু করার সাথে মামলার এজাহারভুক্ত সকল আসামি ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া আসামিরা হলেন—টেকনাফ থানা থেকে প্রত্যাহার হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ (৪৮), বাহারছরা শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহারকৃত পরিদর্শক লিয়াকত আলী (৩১), এসআই নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এসআই টুটুল, কনস্টেবল মো. মোস্তফা।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া ৯ আসামি আগের কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার হয়ে এখন কক্সবাজার জেলা পুলিশ লাইন্সে রয়েছে। এর আগে, টেকনাফের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহর দেওয়া আদেশের কপি, সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্টসহ টেকনাফ মডেল থানায় পাঠানো হয়।
সূত্র মতে, মোহাম্মদ ফারুক নামে আদালতের একজন বাহকের মাধ্যমে বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে আদালতের আদেশসহ অন্যান্য কাগজপত্র টেকনাফ মডেল থানায় পৌঁছানো হয় বলে কক্সবাজার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আশেক ইলাহী শাহজাহান নূরী নিশ্চিত করেছেন।
টেকনাফের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক তামান্না ফারাহর দেওয়া আদেশ অনুযায়ী নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড করার পর মামলাটি এখন তদন্তের জন্য টেকনাফ মডেল থানা থেকে র্যাব ১৫-এর কাছে পাঠাতে হবে। র্যাব-১৫ মামলাটি তদন্ত করে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনাও রয়েছে।