ওবায়দুল কাদের (ফাইল ছবি)
বিশেষ প্রতিবেদক :
রাজনীতি কোন পেশা নয়। এটা দেশ ও জনকল্যাণের মহান ব্রত। রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা হলো জনগণের স্বার্থরক্ষার অতন্দ্র প্রহরী। রাজনীতির শেষ কথা হলো জনকল্যাণ। সাধারণ জনগণ নিষ্ক্রিয় থাকলেও তাদের স্বার্থরক্ষার জন্য রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সক্রিয় থাকতে হয়। তাই রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা লোভের চোরাবালিতে নিমজ্জিত হলে জনগণের স্বপ্ন ছিনতাই হয়ে যায়। মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত ‘স্বেচ্ছাশ্রম বাংলাদেশ: বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত এ সভায় ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা বলে রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই, তারা জনকল্যাণের মূলমন্ত্র থেকে সরে গিয়ে লুটপাটের সংস্কৃতির বিস্তার ঘটায়। রাজনীতিকে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। আদর্শিক নেতাকর্মীরা লোভের বশবর্তী হয়ে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয় না। কোনও মহান লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, আদর্শ, চেতনা ও মূল্যবোধকে সামনে রেখে রাজনীতিতে আসে। রাজনৈতিক সংস্কৃতি নষ্ট হলে কিংবা রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা লোভের চোরাবালিতে নিমজ্জিত হলে জনগণের স্বপ্ন ছিনতাই হয়ে যায়।’
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন সংগ্রামে রাজনীতির পটভূমি ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘কোনও অন্যায় দেখলে কোনও চিন্তা না করে তার প্রতিবাদ করা ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহজাত প্রবৃত্তি। প্রতিবাদের সহজাত এই প্রবৃত্তি থেকে তার রাজনীতিতে অংশগ্রহণ শুরু হয়। প্রতিবাদকারী কিশোর থেকে রাজনৈতিক কর্মী, এরপর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিফলন-প্রতিপালন ও আদর্শের অনুশীলনের মাধ্যমে রাজনৈতিক কর্মী থেকে রাজনৈতিক নেতা। তারপর বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সংগ্রামের বোঝা কাঁধে বহন করে তিনি হয়ে ওঠেন রাজনীতিবিদ, বিশ্বের মহান নেতাদের অন্যতম এবং বাঙালি জাতির পিতা। তিনি ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক কর্মী। বাঙালি জাতিকে ভালোবেসে তিনি হাসিমুখে ফাঁসিকাষ্ঠে যেতেও দ্বিধা করেননি।’
ওবায়দুল কাদের উল্লেখ করেন, ‘জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করে শেখ হাসিনা দুর্যোগের এ সময়ে জাতিকে সংকট উত্তরণের পথ দেখিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার নির্দেশে স্বেচ্ছাসেবক লীগ বিগত দিনের মতো আগামী দিনগুলোতেও জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। শেখ হাসিনার একটি শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে আমরা রাজপথে ও জনমানুষের মাঝে নিজেদের ভাবমূর্তি উত্তরোত্তর সমুজ্জ্বল করতে সক্ষম হবো।’
করোনা ও বন্যাদুর্গত এলাকায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান তিনি।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. এএসএম মাকসুদ কামাল। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান।