নগর প্রতিবেদক :
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, মহামারি করোনা এবং বন্যার কারণে দেশে অর্থনৈতিক স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে। অনেক মানুষ বেকার হয়েছে, অনেকেই চাকরি হারিয়েছে। তাই দেশের অর্থনৈতিক স্থবিরতায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
বুধবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে মানিকগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টি নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে। জনসাধারণের জীবন-জীবিকা অনিশ্চিত হতে পারে। এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে কোন অপশক্তি যেন ফায়দা লুটতে না পরে সে জন্য জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। এতে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা সরকারকে সকল ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত আছি।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরো বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন হয়েছে। দেশের মানুষ এখন আর হরতাল ও ধংসাত্মক কর্মসূচি গ্রহণ করেনা। রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তনে অনেক রাজনৈতিক দলই হারিয়ে যাচ্ছে। শুধু কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে জাতীয় পার্টিসহ তিনটি রাজনৈতিক দল। তাই আগামী দিনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় পার্টিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির রাজনীতি এবং রাষ্ট্র পরিচালনার সাফল্য বিচার বিশ্লেষণ করছে। জাতীয় পার্টির রাষ্ট্র পরিচালনায় খুন, গুম, টেন্ডারবাজী ও দলবাজী নেই। তাই আগামী দিনে জাতীয় পার্টির উজ্জ্বল ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে।
জিএম কাদের বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে গণমানুষের কাছে যাওয়া যায়, তাই জাতীয় পার্টি সকল নির্বাচনে অংশ নিয়ে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-এর আদর্শ ও কর্মসূচি তুলে ধরবে। আগামী নির্বাচনে তিনশো আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতার প্রস্তুতি নিয়েই জাতীয় পার্টি এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, মানুষের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি দিতেই জাতীয় পার্টির রাজনীতি। আমরা সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত করবো। আমরাই দেশের মানুষকে সুশাসন দেবো।
এসময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়, পরিবর্তনের জন্য দেশের মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে। তিনি বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আইন করে নারী নির্যাতন ও এসিড সন্ত্রাসসহ সকল অপরাধ তৎপরতা বন্ধ করেছিলেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির শাসনামলে টেন্ডারবাজী, দলবাজী, খুন-গুম ছিলনা। জাতীয় পার্টির নয় বছরের শাসনামল ছিলো এদেশের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সময়, বাংলাদেশের স্বর্ণযুগ। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির শাসনামলে ফিরে যেতে চায়। তাই জাতীয় পার্টিকে আরো শক্তিশালী করে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করবো আমরা। দেশের ৬৫ ভাগ নতুন প্রজন্মের কাছে পল্লীবন্ধুর আদর্শ পৌঁছে দিয়ে দেশ থেকে খুন, গুম, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি চিরতরে দূর করবো।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন- জাতীয় পার্টি কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য- আজম খান, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য জহিরুল আলম রুবেল, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মো. ইফতেকার আহসান হাসান, মো. হুমায়ুন খান, সৈয়দ মঞ্জুরুল হক মঞ্জুসহ অন্যান্যরা।