চট্টগ্রাম (নগর) প্রতিনিধি :
চট্টগ্রাম নগরের নিম্নাঞ্চল গুলোতে অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। গত বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার দিনভর কখনো মুষল ধারে, কখনো থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। ফলে নিম্নাঞ্চলে জমে যায় পানি। দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। করোনার দুর্যোগে এখন সঙ্গী হয়েছে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ।
পতেঙ্গার আবহাওয়া অফিস বলছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। চট্টগ্রামে আগামী কয়েকদিন পর একটি মৌসুমি স্থলচাপ তৈরি হতে পারে। এ কারণে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি পাহাড় ও ভূমিধসের ঝুকি আছে বলে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়।
জানা যায়, বৃষ্টিতে নগরের অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। অল্প বৃষ্টিতেই নগরের চকবাজার, বাদুরতলা, বহদ্দার হাট, কেবি আমান আলী রোড, ধুনির পুল, নাসিরাবাদ শিল্প এলাকা, হালিশহর, বড় পুল, ছোট পুলসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে যায়।
ধুনির পুল এলাকার বাদিন্দা আবদুল হামিদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের এলাকায় বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা হচ্ছে। কিন্তু এ নিয়ে দায়িত্বশীল কোনো সংস্থাই কার্যকর উদ্যোগ নেয় না। ফলে বছরে পর বছর আমাদের জলাবদ্ধতায় ভুগতে হচ্ছে।’
জানা যায়, চট্টগ্রাম জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের কাজ করোনার কারণে বন্ধ আছে। তিনবছর মেয়াদকালের এ প্রকল্পের দুই বছর পার হলেও কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ২৫ শতাংশ। খাল খনন, খাল পরিস্কারসহ এখনো নানা কাজ বাকি। ফলে বর্ষা মৌসুমে নগরজুড়ে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক ও সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী আহমদ মঈনুদ্দিন বলেন, ‘করোনার কারণে বর্তমানে কাজ বন্ধ। তবে রুটিন ওয়ার্ক হিসাবে পানি নিষ্কাশনে প্রয়োজনীয় কাজগুলো করা হচ্ছে।’