লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
পূর্ণিমার প্রভাবে মেঘনা নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ১৫টি গ্রামের ২০ হাজার মানুষ। জোয়ারের পানির স্রোতে অভ্যন্তরীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ পানিতে ভেসে গেছে পুকুর ও ঘেরের মাছ। পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে কয়েকশ’ হেক্টর উঠতি আউশ ধানক্ষেত ও আমনের বীজতলা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ণিমার প্রভাবে রোববার বিকাল থেকে মেঘনার জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়তে থাকে। বুধবার সকালে জোয়ার স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট বেড়ে মেঘনা নদীর তীরবর্তী পশ্চিম বালুচর, জনতা বাজার, চরগজারিয়া, তেলিরচর, চরসেবাজ ও কমলনগরে সাহেবেরহাট, লধুয়া, মাতাব্বরহাট, মতিরহাটসহ ১৫টি গ্রামের নিম্ন এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েন।
উপজেলার বিচ্ছিন্ন ও দুর্গম এবং চারদিকে মেঘনা নদীবেষ্টিত চরগজারিয়া এলাকা জোয়ারে প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
এছাড়াও জোয়ারের পানিতে উঠতি আউশ ধানক্ষেত তলিয়ে থাকার পাশাপাশি জোয়ারের স্রোতে অভ্যন্তরীণ ১০টি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
একই অবস্থায় কমলনগর উপজেলার সাহেবেরহাট, চরফলকন, মাতাব্বরহাট, মতিরহাট, নাছিরগঞ্জ ও চরকালকিনির নিম্নাঞ্চল। তবে স্ব-স্ব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। তবে ভাটার সময় পানি নেমে যায়। এখনো কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।