নোয়াখালী চাটখিলে খিলপাড়া-ইটপুকুরিয়া-নারায়ণপুর-দেলিয়াই সড়কের বেহাল দশা, যাতায়াতে দুর্ভোগ

Ayat-Noakhali-News-29-07-2020-1.jpg

dav

সড়কের বিভিন্ন স্থান ধ্বসে পড়ায় চলাচলে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

নোয়াখালী থেকে এইচ.এম আয়াত উল্যা :

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নোয়াখালী জেলার চাটখিলের খিলপাড়া-ইটপুকুরিয়া-দেলিয়াই সড়কের বেহাল দশা। অথচ ১ বছর আগে এ সড়কের সংস্কার কাজ করা হয়েছে। বর্তমানে এ সড়ক দিয়ে যানবাহন ও পথচারীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খিলপাড়া থেকে ইটপুকুরিয়া হয়ে দেলিয়াই সড়কটি দীর্ঘ ৪ কিলোমিটার। এখানে গত বছর শংকরপুর গ্রামের হুমায়ুন কবির ম্যাজিস্ট্রেটের বাড়ীর সামনে থেকে পশ্চিম দেলিয়াই পর্যন্ত ২ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করা হয়। সংস্কারের সময় অত্যান্ত নিন্মমানের জিনিসপত্র ব্যবহার এবং নিয়ম অনুযায়ী কাজ করা হয়নি। ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে। এতে করে ১ বছর অতিবাহিত হতে না হতে সড়কটি মাঝে মধ্যে ধ্বঃসে গেছে।

সড়কের দুই পাশে ১৫/২০ টি স্থান ধ্বঃসে পড়ে পাশের জমি এবং খালের সাথে মিশে গেছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত দুই শতাধিক হালকা যানবাহন, বিদ্যালয়ের ২ শতাধিক শিক্ষার্থীসহ সহস্রাধিক মানুষ চলাচল করে থাকে। সড়কের বিভিন্ন স্থান ধ্বসে পড়ায় চলাচলে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী মনির হোসেন ভুষণ জানান, সড়কটি সংস্কারের একবছর অতিবাহিত হতে না হতে বিভিন্ন স্থান ধ্বসে পড়ায় দুঃখজনক। সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তোলেন তিনি। তিনি আরও জানান, সড়কটি সংস্কারের সময় এলাকাবাসী এসব অভিযোগ এলজিইডি’র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জানালেও তারা এটি আমলে নেয়নি।

শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেন জানান, সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা শহিদুল্লাহ জানান, সড়কটি নির্মাণ করতে অত্যান্ত নিন্মমানের জিনিসপত্র ব্যবহার করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী সকল কাজও সঠিক ভাবে করা হয়নি। সংস্কারের সময় তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ সড়ক সংস্কারের বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ কয়েকবার জানালেও কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কর্নপাত করেননি। তিনি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী, এলজিইডির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, দুদকসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

উল্লেখ্য, এ অফিসে এমন কর্মচারী আছেন যিনি সরকারের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছেন। কথিত অভিযোগ আছে সহকারী প্রকৌশলী ও কার্যসহকারীদের যোগ সাজেশে ঠিকাদারদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ অফিসে চলে দুর্নীতির মহাযজ্ঞ। উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রহিম জানান, তিনি এখানে এসেছেন অল্প কয়েকদিন হয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। তবে তিনি খোজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top